নিখোঁজের ২ দিন পর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার, কারখানা ভাংচুর
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় ডোবা থেকে মো. শামীম (২৮) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর এসিআই ফুড ফ্যাক্টরির কারখানা ভাংচুর করেছে এলাকাবাসী। নিহত শামীম কুটিরচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং সাইফুল ইসলাম শেখের ছেলে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার কুটিরচর গ্রামে এসিআই ফুড ফ্যাক্টরির পেছনে থাকা একটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন শামীম। সম্ভাব্য আত্মীয়দের বাড়িসহ নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। শুক্রবার দুপুরে ডোবা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়রা সেখানে ছুটে যান এবং পানিতে ভেসে থাকা মরদেহটি শনাক্ত করেন।
নিহতের বাবা সাইফুল ইসলাম শেখ বলেন, “আমার ছেলে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল না। তার কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল বলেও জানি না। কে বা কারা, কী কারণে তাকে হত্যা করল—আমরা কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।”
এদিকে খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। শত শত মানুষ প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেয় এবং এসিআই ফুড ফ্যাক্টরির আশপাশে ভাঙচুর চালায়। কিছু স্থানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেও জানা গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কামারখন্দ থানা পুলিশ অতিরিক্ত দুই প্লাটুন ফোর্স মোতায়েন করে।
এ বিষয়ে কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, “মরদেহটি ডোবার পানিতে থাকায় অর্ধগলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এক-দুই দিন আগে তাকে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।”
পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা হয়েছে।
আই/এ