জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বন্ধু হতে চান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বন্ধু হতে চান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, এসব দেশের মানুষকে নিজের সন্তানের চেয়েও বেশী গুরুত্ব দিয়ে দেখেন। হোয়াইট হাউজের সমন্বয়ে গঠিত কোয়াড গোষ্ঠীর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সভাপতিত্বকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় নতুন 'ক্রিটিক্যাল মিনারেলস ইনিশিয়েটিভ' বা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উদ্যোগের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। রুবিও বলেন, “এই চারটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার ও মিত্র। বৈশ্বিক সংকট কিংবা নিজেদের সমস্যা সমাধানে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।” বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চীনের প্রভাব ঠেকাতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর জানিয়েছে, তারা একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “বিশ্বকে জঙ্গিবাদের প্রতি শূন্য সহনশীলতা দেখাতে হবে। ভুক্তভোগী ও অপরাধীদের একভাবে দেখার সুযোগ নেই। ভারত তার জনগণকে সুরক্ষিত রাখার পূর্ণ অধিকার রাখে। সেই অধিকার বাস্তবায়ন করা হবে। সম্প্রতি কাশ্মীরের একটি হামলার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করে। পরে তিন দিনের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় দুই দেশ।
একই বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়ং জানিয়েছেন, একসঙ্গে কাজ করলেই আরও শক্তিশালী হওয়া সম্ভব। আর জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তাকেশি ইওয়া বলেছেন, “এই অঞ্চল এখন বৈশ্বিক অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। নতুন কোয়াড খনিজ উদ্যোগকে বলা হয়েছে “অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও যৌথ স্থিতিশীলতা জোরদারে একটি উচ্চাভিলাষী অংশীদারিত্ব। যার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ চেইনকে সুরক্ষিত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ করা হবে।