দেশজুড়ে

র‍্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপহরণ, বরখাস্ত সৈনিক গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ থেকে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণের ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বরখাস্ত সৈনিক মো. সুমন মুন্সিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব ১৫ এর একটি দল এসময় তার কাছ থেকে র‌্যাবের পোশাক, ওয়াকিটকি, দেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে র‌্যাব-১৫ এর এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

র‍্যাব জানায়, গত ১১ জুন রাতে  একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী র‍্যাব পরিচয়ে মো. হাফিজ উল্লাহকে অপহরণ করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে

অপহরণের খবর পেয়ে র‌্যাব-১৫ অভিযান চালিয়ে ১৩ জুন রঙ্গিখালীর ডাকাত শাহআলমের বাড়ি থেকে আফ্রিদি ও আব্দুল গফুরকে এবং ১৪ জুন মরিচ্যা বাজার থেকে মূল অপহরণকারী ও বরখাস্ত সৈনিক মো. সুমন মুন্সিকে গ্রেপ্তার করে।

পরে ১৫ জুন র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, এপিবিএন ও বনবিভাগের যৌথ অভিযানে গহীন অরণ্য থেকে অপহরণের ৭২ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয় অপহৃত হাফিজ উল্লাহকে। এসময় উদ্ধার করা হয় র‌্যাবের পোশাক, ওয়াকিটকি, দেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি।

পরবর্তীতে ২৭ জুন কুখ্যাত ডাকাত শিকদার এবং ২৯ জুন উখিয়ার মরিচ্যা থেকে সন্ত্রাসী জায়েদ হোসেন ফারুককে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। ফারুকের কাছ থেকে ৪টি র‌্যাবের পোশাক, ভুয়া র‌্যাব আইডি, হ্যান্ডকাপ, বিদেশি পিস্তল, ২টি দেশি অস্ত্র, ১০ রাউন্ড গুলি, ১১টি খালি কার্টিজ ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানিয়েছে,তিনি রাজধানীর মিরপুর শাহ আলী মার্কেট থেকে র‌্যাবের পোশাক তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে র‌্যাবের পরিচয়ে অপহরণ চালাতেন। প্রতিটি পোশাক তৈরিতে খরচ হতো ২৫০-৫০০ টাকা।

র‍্যাব জানিয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত অধিকাংশ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হলেও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন ও ডাকাত শাহআলমসহ কয়েকজন এখনো পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন