হয় শান্তি নয়তো ট্রাজেডি; ট্রাম্প
ভবিষ্যতে আরও বড় হামলা হবে; ইরানকে ট্রাম্পের হুশিয়ারি
ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বোমারু বিমান হামলাকে অসাধারণ সামরিক সাফল্য’ বলে দাবী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামলার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি এমন দাবী করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০টায় হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি। হোয়াইট হাউজের ক্রস হল থেকে দেয়া ট্রাম্পের এই ভাষণ মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানকে এখনই শান্তি স্থাপন করতে হবে। যদি তা না করে, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় হামলা হবে।’
ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বিশ্বকে জানাতে পারি, ইরানে হামলা ছিল অসাধারণ সামরিক সাফল্য।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এভাবে চলতে পারে না। হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানে ট্র্যাজেডি ঘটবে। গেল আট দিনে আমরা যা দেখেছি, তার চেয়েও সেটা অনেক বেশি ভয়াবহ হবে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা ধ্বংস করা। বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাস-সহযোগী রাষ্ট্রের পারমাণবিক হুমকি বন্ধ করা। আমি বিশ্বকে জানাতে পারি এই হামলা ছিল একটি ব্যতিক্রমধর্মী সামরিক সাফল্য।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্প ‘ট্রুথ সোশাল’-এ পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ফোরদো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহান এই তিন ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা করেছে।
ভাষণ দেয়ার সময় ট্রাম্পের পাশে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
এসময় হুঁশিয়ারি জানান, শনিবারের হামলা হতে পারে ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য একাধিক অভিযানের শুরু। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ এখন পরিষ্কার।
হোয়াইট হাউজের ইস্ট রুমের প্রবেশদ্বার থেকে ট্রাম্প বক্তব্য দিয়েছেন। এটি হলো সেই একই জায়গা, যেখান থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ট্রাম্প বলেন, এই অবস্থা চলতে পারে না। হয় শান্তি আসবে, নইলে ইরানের জন্য এমন এক বিপর্যয় আসবে যা গেল আট দিনের চেয়ে অনেক ভয়াবহ হবে। অনেক টার্গেট এখনো বাকি। আজ রাতের লক্ষ্যবস্তু ছিল সবচেয়ে কঠিন। সম্ভবত সবচেয়ে বিধ্বংসী। তবে যদি দ্রুত শান্তি না আসে, তাহলে আমরা পরবর্তী লক্ষ্যগুলোতে আঘাত করবো। নিখুঁত পরিকল্পনা, গতি এবং দক্ষতা নিয়ে।
সূত্র: বিবিসি ও আল–জাজিরা