Connect with us

আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্ট ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

Published

on

দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে পার্লামেন্ট ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর কয়েক ঘণ্টা মধ্যে পরিস্থিতি দমকলকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে কতৃপক্ষ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আজ রোববার দেশটির পার্লামেন্ট কমপ্লেক্সের একটি অংশের ছাদে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়; ভবনের উপরে কালো ধোঁয়ার স্তর দেখা যায় কয়েক মাইল দূর থেকেও।
 
দক্ষিণ আফ্রিকার গণপূর্ত ও অবকাঠামো মন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া ডি লিলি  সাংবাদিকদের বলেন, অগ্নিকাণ্ড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুনে এখন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি কক্ষ (নিম্নকক্ষ) পুড়ছে, তবে অন্যান্য অংশেরটুকু নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। অগ্নিকান্ডের কারণও জানা যায়নি। ছুটির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টে এখন কোনো অধিবেশন চলছে না।

কেপ টাউন মেয়রাল কমিটির সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা জঁ-পিয়েরে স্মিথ বলেন, প্রাথমিক প্রতিবেদনে একটি অফিস প্রাঙ্গণ থেকে আগুনের সূত্রপাত এবং পরে সেখান থেকে অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে।  পার্লামেন্ট ভবনের ছাদের একাংশ ধসে পড়েছে। অগ্নিকান্ডের পর ফায়ার অ্যালার্ম ঠিকমতো কাজ করেনি। দেয়ালে বড় বড় ফাটল শনাক্ত করার কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা, যা উদ্বেগের বিষয়।

অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তারা জানান, আগুন নেভাতে আরো কয়েক ঘন্টা লাগবে  কারণ ভবনের ভেতরে কাঠের মেঝে ও কার্পেট রয়েছে।
জরুরি বিভাগের কর্মীরা ভবনের ভেতরে ঢুকে পানি ছিটালে ছাদ ও ভবনের প্রবেশপথ দিয়ে গাঢ ধোঁয়া বের হতে শুরু করে।  

Advertisement

আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক ডজন দমকলকর্মী তৎপর বলে জানিয়েছে বিবিসি।

দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনের এই পার্লামেন্ট ভবনের তিনটি অংশ রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে পুরনো অংশটি নির্মিত হয় ১৮৮৪ সালে, বাকি দুটি অংশ নির্মিত হয় ১৯২০ ও ১৯৮০-র দশকে।

অনন্যা চৈতী

 

Advertisement
Advertisement

আফ্রিকা

মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরিডুবে ৫৮ জনের মৃত্যু

Published

on

আফ্রিকার দেশ মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে ৩০০ আরোহী নিয়ে ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। তাদের প্রায় সবাই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। ধারণক্ষমতার অতিরিক্তি যাত্রী বহন করায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরি ডুবে যাওয়ার পর কমপক্ষে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নৌযানটিতে থাকা ৩০০ জনের বেশিরভাগই গেলো শুক্রবার একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন এবং পথিমধ্যে এটি ডুবে যায়।

বিবিসি বলছে, রাজধানী বাঙ্গুইয়ের কাছে এমপোকো নদীতে ফেরিডুবি ও প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া দুর্ঘটনার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ফেরিডুবির পর লোকেরা নদীর তীরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন বা পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছেন।

মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে নৌকাডুবির জেরে এমন বিপর্যয়ের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আফ্রিকা

কলেরা থেকে বাঁচতে গিয়ে নৌকা ডুবে ৯০ জনের মৃত্যু

Published

on

মোজাম্বিকের উত্তর উপকূলে ফেরি ডুবে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। দেশটির নামপুলা প্রদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাহাজে থাকা ১৩০ জনের মধ্যে পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিরা নিখোঁজ রয়েছে।

সেক্রেটারি অফ স্টেট জেইম নেটো জানান, তারা কলেরা প্রাদুর্ভাব থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল। নামপুলা নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে। বোটটি লুঙ্গা থেকে মোজাম্বিক দ্বীপে যাচ্ছিল।

তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারণে নৌকাটি ডুবে যায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে দেখা যায় একটি সৈকতে বেশ কজনের লাশ পড়ে আছে। তবে ওই ভিডিওর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গেলো বছরের জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে নামপুলা প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউনিসেফের হিসেবে, চলামন প্রাদুর্ভাব গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে মোজাম্বিকে অন্তত ১৩ হাজার ৭০০ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৩০ জন মারা গেছেন।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আফ্রিকা

সেতু থেকে ১৬৫ ফুট নিচে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫

Published

on

যাত্রীবাহী একটি বাস সেতু থেকে প্রায় ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) নিচে খাদে পড়ে যায় এবং মুর্হূতের মধ্যে এতে আগুন ধরে যায়। এতে চালকসহ বাসের ৪৫ যাত্রীই নিহত হন। তবে গুরুতর আহত অবস্থায় বেঁচে ফেরে ৮ বছর বয়সী একটি শিশু।

তবে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে শিশুটি। খবর নিউইয়র্ক টাইমস।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।

দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লিম্পোপো রাজ্যে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে সেতু থেকে নিচে পড়ে যায়। এরপর খাদে পড়ে গোটা বাসে আগুন ধরে যায়।

দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব লিম্পোপো প্রদেশে। জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঘটনাস্থলটি। দুর্ঘটনার শিকার সবাই ছিলেন তীর্থযাত্রী এবং তারা বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোন থেকে মোরিয়া শহরে ইস্টার সার্ভিসে যাচ্ছিলেন।

জানা গেছে, বাসটি পথিমধ্যে জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) উত্তরে মোকোপানে এবং মার্কেনের মধ্যে অবস্থিত মামামতলাকালা পর্বত গিরিপথের একটি সেতু পার হওয়ার সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ অবস্থায় সেতুর ব্যারিয়ারে ধাক্কা দিয়ে ছিটকে ১৬৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী বাসটি। খাদে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুনও ধরে যায় বাসটিতে।

Advertisement

দেশটির পরিবহনমন্ত্রী সিন্দিসিওয়ে চিকুঙ্গা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় স্বজনহারা পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে বলেন, এই কঠিন সময়ে আপনাদের প্রতি আমাদের প্রার্থনা রয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত